Header Ads

Header ADS

বিখ্যাত ১২ জন লেখকের বিচিত্র অভ্যাস:-

লেখকদের জীবন বিচিত্র! বিচিত্র তাদের অভ্যাস, বিচিত্র তাদের দর্শন, বিচিত্র তাদের রুটিন। এমন বিচিত্র কিছু লেখকের বিচিত্র তথ্য নিয়েই আমাদের এবারের আয়োজন-
১। উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ– ইংরেজ কবি উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ মাত্র ১৫ বছর বয়সেই বাবা-মা দুজনকে হারিয়ে বড্ড একা হয়ে পড়েন। তার নতুন লেখা কবিতার একমাত্র শ্রোতা কে ছিল জানেন? তার পোষা কুকুরটি! সে যদি কবিতা শুনে ঘেউ ঘেউ করতো অথবা যদি তার মুড অফ হয়ে যেত, তখন তিনি নতুন করে লিখতেন।
২। ডিক কিং স্মিথ– তার প্রথম বই ছাপা হয় ৫৬ বছর বয়সে, ১৯৭৮ সালে। বাকি জীবনে তিনি আরো ১০৭ টি বই লিখেছেন! সুতরাং, জীবন সম্পর্কে হতাশ হবার আগে একবার তার কথাটি ভাবুন!
৩। এ্যান্থনি ট্রলোপ- মহা ব্যস্ত এক মানুষ ছিলেন তিনি। বৃটিশ পোস্ট অফিসের দায়িত্বপূর্ণ একটি পদে কর্মরত ছিলেন। তবে ইচ্ছা থাকলে উপায় না হয়ে যাবে কোথায়! তিনি প্রতিদিন সকালে ঘড়ি দেখে ৫-৩০ থেকে ৮-৩০ পর্যন্ত লিখতেন। তার লক্ষ্য ছিলো প্রতি ১৫ মিনিটে ২৫০ শব্দ লেখা। সুতরাং, ব্যস্ততা একটি অজুহাত ছাড়া আর কিছুই নয়।
Image may contain: 1 person

৪। বারবারা কার্টল্যান্ড- তিনি তার দীর্ঘ ৯৯ বছরের জীবনে সর্বমোট ৭২২ খানা বই লিখেছেন ‘মাত্র’। অর্থাৎ প্রতি চল্লিশ দিনে একটি করে বই লিখেছেন। তার বই সর্বমোট ১০০ কোটিরও বেশি কপি বিক্রি হয়েছে। সময় কে কাজে লাগাতে আর দেরী করছেন কেন তাহলে! লেগে পড়ুন আপনিও!
৫। স্টিফেন কিং– রহস্য-রোমাঞ্চ সাহিত্যের এই পুরোধা প্রতিদিন গড়ে ২,০০০ শব্দ লিখতেন এবং ৪-৬ ঘন্টা পড়া এবং লেখার পেছনে ব্যয় করতেন। তার মতে গ্রেট রাইটার হতে হলে এর কোন বিকল্প নেই। তিনি বিশ্বাস করতেন লেখালেখির ক্লাশে হাজারটা লেকচার গুলে খাওয়ার চেয়ে পড়ালেখার এই পদ্ধতিটিই বেশি কার্যকর।
৬। চার্লস হ্যামিল্টন- ইনি সারাজীবন শুধু লিখেই গেছেন। সারা জীবনে লিখেছেন ১ কোটির বেশি শব্দ। তবে এজন্যে তাকে যথেষ্ট ত্যাগও স্বীকার করতে হয়েছে। বিয়ে করার সময়টা তার হয়ে ওঠে নি।
৭। মাইকেল মাস্টারসন- তিনি ছিলেন এ্যামেরিকান রাইটারস এ্যান্ড আর্টিস্ট ইনস্টিটিউট এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ছিলেন আশ্চর্য রকম প্রযুক্তি বিমুখ। ই-মেইল পারতপক্ষে চেক করতেন না। এমন কী বাসায় কোন টেলিভিশন রাখতেন না!
৮। জন শিভার ছিলেন পুলিৎজার পুরষ্কারে ভূষিত হওয়া একজন আমেরিকান ঔপন্যাসিক। তার অভ্যাস ছিলো বিচিত্র। তিনি সক্কাল বেলা ঘুম থেকে উঠে স্যুটেড বুটেড হয়ে বেসমেন্টে যেতেন। এরপর স্যুট প্যান্ট খুলে কেবল বক্সার এবং শার্ট পড়ে লিখতে বসতেন। লাঞ্চ টাইমে আবারও স্যুটেড ব্যুটেড হয়ে একটি স্যান্ডউইচ খেয়ে এসে আবারও পোষাক খুলে লিখতে বসতেন।
৯। এডিথ সিটওয়েল- এই ইংরেজ কবি লিখতে বসার আগে কিছুক্ষণ কফিনে শুয়ে থেকে ‘ভাব’ আনতেন! এমনটি না করলে তিনি লেখার কোন আগ্রহই পেতেন না!
১০। ট্রুম্যান ক্যাপোট- তিনি বসে লিখতে পারতেন না। আদুরে বেড়ালের মত বিছানায় বা সোফায় শুয়ে শুয়ে লিখতেন। তার পাঠাভ্যাস ছিলো ব্যাপক! সপ্তাহে অন্তত ৫টি উপন্যাস পড়তেন!
১১। লুইস ল্যামৌর- তার প্রথম বই বেরুবার আগে তিনি অনেক বার প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন প্রকাশকদের দ্বারা। কতবার বলুন তো? ১,২, ১০ না। ৩০ বা ৫০ ও না। ৩৫০ বার! পরবর্তীতে তিনি ১০০’র বেশি উপন্যাস লেখেন এবং তার বই ২০ কোটি বারের বেশি বিক্রয় হয়।
১২। ভিক্টর হুগো- লা মিজারেবল এর লেখক ভিক্টর হুগো লেখার সময় গায়ে কাপড় চোপড় রাখতে বড়ই অস্বস্তি বোধ করতেন।
আপনারও কি এমন বিচিত্র অভ্যাস এবং বিপুল উদ্যম আছে? তাহলে লেখা এবং পড়ার জগতে আপনাকে স্বাগতম!

No comments

Theme images by piskunov. Powered by Blogger.