বিখ্যাতদের মজার কাহিনী - ১

সক্রেটিসের অদ্ভুত পরীক্ষা
একদিন এক লোক সক্রেটিসের নিকট এসে সক্রেটিসের বন্ধু সম্পর্কে কিছু কথা বলতে চাইলো।
সক্রেটিস বললেন- আমি আপনার সব কথা শুনবো আমার বন্ধু সম্পর্কে, যদি কথোপকথনের তিনটি পরীক্ষার কোনো একটিতে আপনি পাশ করেন।
সক্রেটিস বললেন- আমি আপনার সব কথা শুনবো আমার বন্ধু সম্পর্কে, যদি কথোপকথনের তিনটি পরীক্ষার কোনো একটিতে আপনি পাশ করেন।
প্রথম পরীক্ষাঃ
আপনি যে কথাগুলো আমাকে বলবেন আমার বন্ধু সম্পর্কে তা সত্যি কিনা?লোকটি বললো- না, মানে আমি শুনেছি, সত্যি হতেও পারে, আবার নাও পারে।
সক্রেটিস বললেন- আপনি প্রথম টেস্টে ফেল করেছেন। তবে এখনো দুটি টেস্ট বাকি আছে।
২য় পরীক্ষা :আচ্ছা,আপনি আমার বন্ধু সম্পর্কে ভালো কিছু বলবেন?
লোকটি বললো, না মানে ভালো কিছু নয়, বরং ......
সক্রেটিস বললেন--আর বলতে হবেনা, আমি বুঝলাম- আমার বন্ধু সম্পর্কে আপনি যা বলবেন - তা সত্যি নয়, আবার ভালো কিছু ও নয়। তবে এখনো আরেকটি পরীক্ষা বাকি আছে। যদি এ পরীক্ষায় আপনি পাশ করেন তবে আমি আপনার কথা শুনবো।
তয় পরীক্ষা :আপনি আমার বন্ধু সম্পর্কে যে কথাগুলো বলবেন- তা আদৌ কারো কোনো উপকারে লাগবে কি না?
লোকটি বললো-মনে হয় না।
সক্রেটিস এবার বিনীত ভাবে বললেন- আমি দুঃখিত-আপনার কোনো কথাই আমি আমার বন্ধু সম্পর্কে শুনতে পারবো না। কারণ আপনি যে কোনো কথোপকথনের তিনটি পরীক্ষাতেই ফেল করেছেন।
আপনি যে কথাগুলো আমাকে বলবেন আমার বন্ধু সম্পর্কে তা সত্যি কিনা?লোকটি বললো- না, মানে আমি শুনেছি, সত্যি হতেও পারে, আবার নাও পারে।
সক্রেটিস বললেন- আপনি প্রথম টেস্টে ফেল করেছেন। তবে এখনো দুটি টেস্ট বাকি আছে।
২য় পরীক্ষা :আচ্ছা,আপনি আমার বন্ধু সম্পর্কে ভালো কিছু বলবেন?
লোকটি বললো, না মানে ভালো কিছু নয়, বরং ......
সক্রেটিস বললেন--আর বলতে হবেনা, আমি বুঝলাম- আমার বন্ধু সম্পর্কে আপনি যা বলবেন - তা সত্যি নয়, আবার ভালো কিছু ও নয়। তবে এখনো আরেকটি পরীক্ষা বাকি আছে। যদি এ পরীক্ষায় আপনি পাশ করেন তবে আমি আপনার কথা শুনবো।
তয় পরীক্ষা :আপনি আমার বন্ধু সম্পর্কে যে কথাগুলো বলবেন- তা আদৌ কারো কোনো উপকারে লাগবে কি না?
লোকটি বললো-মনে হয় না।
সক্রেটিস এবার বিনীত ভাবে বললেন- আমি দুঃখিত-আপনার কোনো কথাই আমি আমার বন্ধু সম্পর্কে শুনতে পারবো না। কারণ আপনি যে কোনো কথোপকথনের তিনটি পরীক্ষাতেই ফেল করেছেন।
ফিডার খাওয়া টেন্ডুলকারের কির্তী
১৯৮৯ সাল । কিছুদিন আগেই ১৭ বছরের এক যুবক অভিষেক টেস্ট খেলেছেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ।তখনও ড্রাভিং লাইসেন্স পাওয়ার বয়স হয়নি তাঁর,কিন্তু ওই বয়সেই তাকে মোকাবেলা করতে হয়েছিল পাকিস্তানের সব বাঘাবাঘা বোলারদের, এক টেস্ট ম্যাচে সেই যুবক যখন ব্যাট করতে নামলেন,গ্যালারিতে পাকিস্তানের সমর্থকদের হাতে দেখা গেল বিভিন্ন প্লাকার্ড,একটিতে লেখা-দুধ পিটা বাচ্চা...ঘর যাকে দুধ পি...(ওই বাচ্চা,ঘরে যাও এবং দুধ খাও)। সেদিন দুর্দান্ত খেলছিলেন সেই যুবক,মুশতাক আহমেদের এক ওভারে দুইটি ছক্কা মারলেন,এরপর বল করতে আসলেন তখনকার সেরা স্পিনার আব্দুল কাদির,কাদির তো যুবককে চেলেঞ্জই জানিয়ে বসলেন,বললেন, পিচ্চি তুমি বাচ্চা বোলারকে(মুশতাক আহমদ) কেন মারছ?পারলে আমার বলে মারো!
যুবক নিশ্চুপ থাকলেন,কিন্তু ফলাফল দেখা গেল ওভার শেষে ৬,০,৪,৬,৬,৬, চার ছক্কাসহ কাদিরের ওই ওভারে ২৮ রান!!!
সেই যুবক আর কেউ নন,তিনি হলেন লিটল মাস্টার শচীন টেন্ডুলকার।
যুবক নিশ্চুপ থাকলেন,কিন্তু ফলাফল দেখা গেল ওভার শেষে ৬,০,৪,৬,৬,৬, চার ছক্কাসহ কাদিরের ওই ওভারে ২৮ রান!!!
সেই যুবক আর কেউ নন,তিনি হলেন লিটল মাস্টার শচীন টেন্ডুলকার।
আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল এর রাগ
টেলিফোন আবিষ্কারক আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল এর চাকর তার অনুপস্থিতিতে একবার পৃথিবীর প্রথম ফোনে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি রেগে গিয়ে তার এক মাসের বেতন কর্তন করেন ।এতে চাকর জানতে চায় বেতন কাটার কারণ-
-মনিব আমার অপরাধ ?
-তুমি সীমা অতিক্রম করেছ ।
-কিসের সীমা ?
-কথা বলার সীমা ।
-মনিব আমার অপরাধ ?
-তুমি সীমা অতিক্রম করেছ ।
-কিসের সীমা ?
-কথা বলার সীমা ।
থিওডর রুজভেল্ট এর হিউমর
সাবেক রিপাবলিকান মার্কিন প্রেসিডেন্ট থিওডর রুজভেল্ট একবার এক সমাবেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন। এমন সময় তাঁকে খেপাতে এক ব্যক্তি উঁচু গলায় চেঁচিয়ে উঠল, ‘স্যার, আমি একজন ডেমোক্র্যাট।’
রুজভেল্ট জানতে চাইলেন, ‘আপনি ডেমোক্র্যাট কেন, জানতে পারি?’
‘আমার দাদা ছিলেন ডেমোক্র্যাট, বাবা ছিলেন ডেমোক্র্যাট, কাজেই আমিও ডেমোক্র্যাট।’
‘এটা কোনো কথা হলো? আপনার দাদা আর বাবা গাধা হলে আপনিও কি গাধা হবেন?’
‘তা হব কেন, আমি তখন হব রিপাবলিকান।’
রুজভেল্ট জানতে চাইলেন, ‘আপনি ডেমোক্র্যাট কেন, জানতে পারি?’
‘আমার দাদা ছিলেন ডেমোক্র্যাট, বাবা ছিলেন ডেমোক্র্যাট, কাজেই আমিও ডেমোক্র্যাট।’
‘এটা কোনো কথা হলো? আপনার দাদা আর বাবা গাধা হলে আপনিও কি গাধা হবেন?’
‘তা হব কেন, আমি তখন হব রিপাবলিকান।’
তীক্ষ্ণ বুদ্ধির আব্রাহাম লিংকন
নিজের ছেলেকে সেনাবাহিনীতে কমিশনপ্রাপ্ত করার জন্য এক মহিলা একবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের কাছে গিয়ে বললেন, ‘এটা আমার দাবি, এ পদটা আমার ছেলের প্রাপ্য। আমার দাদা কেসিংটনে যুদ্ধ করেছেন, আমার চাচা ব্লাডেনসবার্গ যুদ্ধের মাঠ থেকে পালিয়ে যাননি, আমার দাদা নিউ অরলিয়ান্সে যুদ্ধ করেছেন আর আমার স্বামী তো মন্টেরিরি যুদ্ধে মারাই গেলেন।’ ভদ্রমহিলার কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনে লিংকন বললেন, ‘ম্যাডাম, আমার ধারণা আপনার পুরো পরিবার দেশের জন্য অনেক করেছে। এবার অন্যদের একটু সুযোগ দেওয়া উচিত।
চার্লি চ্যাপলিন
এক দ্বাদশবর্ষীয় বালক অসাধারণ অভিনয় করল। অভিনয় দেখে আর্থার কোনান ডয়েল মুগ্ধ। ছেলেটিকে কাছে ডেকে বললেন, তুমি লেগে থাকো। তোমার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।
বালকটি বলল, স্যার, আমি খুব গরিব। আপনার এক বছরের উপার্জন যদি এখন আমায় দেন, তাহলে আমার আগামী পাঁচ বছরের উপার্জন আপনাকে দিতে রাজি আছি।
কোনান ডয়েল মুখে বিরক্তি প্রকাশ করলেন।
ছেলেটি পরে আমেরিকায় গেল। এক বছর পর তার উপার্জন কোনান ডয়েলের উপার্জনকে ছাড়িয়ে গেল। ছেলেটি চার্লি চ্যাপলিন।
বালকটি বলল, স্যার, আমি খুব গরিব। আপনার এক বছরের উপার্জন যদি এখন আমায় দেন, তাহলে আমার আগামী পাঁচ বছরের উপার্জন আপনাকে দিতে রাজি আছি।
কোনান ডয়েল মুখে বিরক্তি প্রকাশ করলেন।
ছেলেটি পরে আমেরিকায় গেল। এক বছর পর তার উপার্জন কোনান ডয়েলের উপার্জনকে ছাড়িয়ে গেল। ছেলেটি চার্লি চ্যাপলিন।
উইনস্টন চার্চিল এর রাগ
মেয়ে সারা যে ছেলেকে বিয়ে করেছিলেন, তাকে দু চোখে দেখতে পারতেন না বাবা উইনস্টন চার্চিল। একদিন দুজনে হাঁটতে বেরিয়েছেন। এ সময় মেয়ে-জামাই প্রশ্ন করল, ‘যুদ্ধে অংশ নিয়ে প্রশংসাযোগ্য কাজ করেছেন, এমন কেউ আছেন কি?’
চার্চিল প্রায় গর্জন করে করে উত্তর দিলেন, ‘হ্যাঁ, একজন আছেন। মুসোলিনি। তিনিই একমাত্র লোক যে কিনা নিজের মেয়ে-জামাইকে গুলি করে মারার সাহস দেখিয়েছিলেন।’
চার্চিল প্রায় গর্জন করে করে উত্তর দিলেন, ‘হ্যাঁ, একজন আছেন। মুসোলিনি। তিনিই একমাত্র লোক যে কিনা নিজের মেয়ে-জামাইকে গুলি করে মারার সাহস দেখিয়েছিলেন।’
উড্রো উইলসন এর ডিগ্রী
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন বাছ বিচারহীন সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রদানকে নিরুৎসাহিত করতেন। তিনি এ প্রসঙ্গে একটি গল্প শোনাতেন। গল্পটি এ রকম—একদিন এক নৈশভোজে অতিসাধারণ এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হলো আমার, যিনি তিন তিনটে সম্মানসূচক ডিগ্রির অধিকারী। এ বিষয়ে খোঁজ নিতে গেলে আমার এক বন্ধু জানাল, তাঁকে তৃতীয় ডিগ্রিটি দেওয়া হয়েছিল কারণ তাঁর দুটো ডিগ্রি আছে। দ্বিতীয়টি দেওয়া হয়েছিল, কারণ ইতিমধ্যেই তাঁর একটা ডিগ্রি আছে। আর প্রথমটা দেওয়া হয়েছিল তাঁর একটাও ডিগ্রি ছিল না বলে !
খালেদ মাসুদের রসিকতা
বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টে আমাদের খালেদ মসুদ পাইলট ইনিংসের শেষের দিকে অনেকক্ষন ধরে ব্যাট করছিলেন,আর অনেক বল খেলছিলেন কিন্তু রান করছিলেন ধীরে ধীরে।এদিকে ভারতের তখনকার অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী পাইলটকে আউট করতে না পেরে একেবারে অধৈর্য্য হয়ে উঠেছিলো।শেষে ধৈর্য্যচুত হয়ে এগিয়ে এসে গাঙ্গুলী পাইলটকে বলল-
সৌরভঃ এই তোমাকে এমন বিরক্তিকর খেলা কে শিখিয়েছে,বল তো বাপু??পাইলটঃ কেন কে আবার,তোমাদের ঐ গাভাস্কার দাদা,যিনি ওয়ানডেতে পুরো ৫০ ওভার খেলে ১৭৪ বলে ৩৬ রান করেছিলো(ভারতের প্রথম বিশ্বকাপ ছিল সেই ম্যাচটি)!"
সৌরভঃ এই তোমাকে এমন বিরক্তিকর খেলা কে শিখিয়েছে,বল তো বাপু??পাইলটঃ কেন কে আবার,তোমাদের ঐ গাভাস্কার দাদা,যিনি ওয়ানডেতে পুরো ৫০ ওভার খেলে ১৭৪ বলে ৩৬ রান করেছিলো(ভারতের প্রথম বিশ্বকাপ ছিল সেই ম্যাচটি)!"
“পাইলটের কথায় একেবারে বোল্ড গাঙ্গুলী”!
জওহরলাল নেহরু যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী তখন ক্রুশ্চেভ এসেছিলেনন ভারত সফরে।নেহেরু ক্রশ্চেভকে নিয়ে পার্টি অফিসে সংবধর্নায় যোগদান করতে বের হলেন।হঠাৎ দূর থেকে রাস্তার পাশে এক ব্যাক্তিকে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করতে দেখে ক্রুশ্চেভ মন্তব্য করলেন,“ইন্ডিয়ানরা দেখি একেবারে অসভ্য,রাস্তায় দাঁড়িয়েই প্রকৃতির সাড়া দিচ্ছে”।নেহেরু এতে দারুণ অপ্রস্তুত হলেন এবং প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ খুঁজতে লাগলেন।কিন্তু সেবার আর সে সুযোগ এল না।
এরপর নেহেরু গেলেন মস্কোয়।ক্রুশ্চেভ তাঁকে নিয়ে “মস্কো বেল” দেখাতে বের হলেন।অপ্রত্যাশিত ভাবে এবার নেহেরু সুযোগ পেয়ে গেলেন।রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে এক ব্যাক্তি প্রস্রাব করছিলো।কিছু না বলে নেহেরু শুধু ক্রুশ্চেভের দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসতে লাগলেন।ক্রুশ্চেভ অত্যন্ত বিরক্ত হলেন।লোকটি কে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন কে তুমি?লোকটা বিনীতভাবে বলল, “স্যার,আমি ইন্ডিয়ান এম্বেসীর একজন কর্মচারী!”
এরপর নেহেরু গেলেন মস্কোয়।ক্রুশ্চেভ তাঁকে নিয়ে “মস্কো বেল” দেখাতে বের হলেন।অপ্রত্যাশিত ভাবে এবার নেহেরু সুযোগ পেয়ে গেলেন।রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে এক ব্যাক্তি প্রস্রাব করছিলো।কিছু না বলে নেহেরু শুধু ক্রুশ্চেভের দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসতে লাগলেন।ক্রুশ্চেভ অত্যন্ত বিরক্ত হলেন।লোকটি কে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন কে তুমি?লোকটা বিনীতভাবে বলল, “স্যার,আমি ইন্ডিয়ান এম্বেসীর একজন কর্মচারী!”
No comments